কলকাতা কমন্স

নন্দলাল বসুর এই ডিজাইন দেখে আমাদের শুরু হয়েছিল সহজ পাঠ। মনে পড়ে? কথোপকথন পেজে এটা মনে করিয়ে দিলেন এক বন্ধু। প্রিন্টিং টেকনোলজি পড়তে আপনি যাবেন বিলেত? সুকুমার রায় গিয়েছিলেন। সন্দেশের অফিসে উপেন্দ্রকিশোর থেকে সত্যজিত অবধি আমরা যা ছবি দেখেছি, ভারতবর্ষের কোনো ছাপাখানায় তখনো তা হয়ে ওঠেনি। চাঁদের পাহাড়ের ইলাস্ট্রেশন আর কভারে সত্যজিত যেটা করেছিলেন অনেক অনেকক্ষণ অবাক হয়ে চেয়ে থাকতাম সেটার দিকে। স্মার্টফোনে আজকাল দেখি সেটা নাকি ম্যাজিক পেন।

আচ্ছা লাল টুকটুকে কাপড়ের মলাট আর সোনার জলে লেখকের ফুল সিগনেচার আর প্রথম দ্বিতীয় চতুর্দশ খণ্ড লেখা। কী মনে পড়ে? চেনা বামুনের পৈতে লাগে না?
আজ মনে হয় এই দুরন্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে যদি বেঁচে থাকতেন সুকুমার রায়, ঠিক কী করতেন? ফোটোগ্রাফ দিয়ে বানাতেন কভার? হয়ত বানাতেন। হয়ত নতুন অ্যাপ ফ্যাপ আসত। হয়ত বাংলা সাহিত্যে ভালো প্রচ্ছদের হাহাকারটা কমত। হয়ত স্মার্টফোনেই ডিসি মার্ভেল ছেড়ে বাংলা বই পড়তে ঝুঁকে পড়ত আজকের আট থেকে আঠেরো? হয়ত।

এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যে কোন লেখালেখি, সেটা কলকাতা কমন্স-এর বক্তব্য হোক বা কোন ব্যক্তি-র, সেটা, সেই বিষয়ে, একটা ধারণা তৈরি করার প্রক্রিয়ার অংশ।চূড়ান্ত কোন অবস্থান নয়, একটা অবস্থানে পৌঁছনোর চেষ্টা।

তাই, এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত 'কলকাতা কমন্স’-এর যে কোন লেখা যে কেউ, প্রয়োজন বুঝলে, অন্য যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। আমরা সেই ব্যবহারটা জানতে আগ্রহী।তাহলে এই চর্চা তৈরির চেষ্টাটা আরও ফলপ্রসূ হয়।

যে লেখাগুলো কলকাতা কমন্স-এর নয়, কোন ব্যক্তির নামে প্রকাশিত, সেখানে, বক্তব্যটা একান্তই লেখকের নিজস্ব। আমরা সেই বক্তব্যটা চর্চার প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। এই লেখাগুলো আমরা লেখকের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করি। সেগুলো অন্য কোথাও ব্যবহারের দায়িত্ব আমাদের পক্ষে নেওয়া সমীচীন নয়।

আর এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যে কোন লেখা সম্পর্কে যে কোন প্রতিক্রিয়া কে আমরা স্বাগত জানাই।

আমাদের ইমেল করতে পারেন, commons@kolkatacommons.org তে।