না-কাহিনী
ভিভি-র রাজনীতিকে বাদ দিয়ে, 'কবি ও সমাজকর্মী' - এমন একটা গোল পরিচয়ের দাবি, যেটাতে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানকে ব্যাখ্যা করার দায় নিতে হয় না। ছবিসূত্র: সীতাংশু শেখর।
অনীকের সঙ্গে দেখা হলে, খুব কিছু কথা থাকে না ওর।সাহিত্য-সিনেমা-রাজনীতি-খেলা-প্রেম-গান ইত্যাদি কোন কিছু নিয়েই নয়। পরশু যখন নিজের থেকে একটানা প্রায় দুমিনিট কথা বলা হয়ে গেল, আমি তখন, ফোনের ভয়েস রেকর্ডার-টা অন করেছিলাম। রেকর্ডিং-টা এখান থেকেই শুরু, তাই এখান থেকেই দিলাম।
এই লেখাটা তৈরি হয়েছিল, ২০১৯-এর মে মাসের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে। ২০২০-র অগাস্ট-এ আত্মনির্ভর ভারত তৈরির কথা হচ্ছে। এবং সেই লক্ষ্যে একটা ছিমছাম সরকার গড়ার চেষ্টায়, বাড়িত মেদ বিবেচনায়, হ্যান্ডলুম বোর্ড-এর মতন উপদেষ্টা সংস্থাগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-এ এই লেখাটায় এরকম বেশ কিছু প্রচ্ছন্ন আশংকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে, ২০২০-তে আবার সেটাকে ফিরে দেখা।
"এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না/এই জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না/এই বিস্তীর্ন শ্মশান আমার দেশ না/এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না..."(এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না / নবারুণ ভট্টাচার্য)
এটা নতুন করে বলে দেবার প্রয়োজন না হলেও, সারা বিশ্ব জুড়েই ভাষামৃত্যুর ক্রমবর্ধমান হার আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাষার প্রতি মানুষের দিনকে দিন বাড়তে থাকা অবিশ্বাস ও অমনোযোগের এই জমানায় এই কথাটা আমাদের সকলের পক্ষেই হয়তো মনে রাখা প্রাসঙ্গিক যে ভাষাই আমাদের একমাত্র আবাসন। মানুষ হিসেবে এই বিশ্বচরাচরের সঙ্গে আমাদের সার্থক কোনও যোগাযোগের প্রথম এবং প্রধানতম সেতু ভাষা। আমাদের সমষ্টিগত জীবন দাঁড়িয়েই আছে ভাষার ওপর ভর দিয়ে। ভাষা ছাড়া বাঁচতে চাওয়া অনেকটা অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে চাওয়ার মত। অতিশয়োক্তি মনে হতে পারে, কিন্তু তলিয়ে ভাবতে গেলে(আমরা ভাবিও কিন্তু ভাষাতেই!)