কলকাতা কমন্স

ফুলিয়ায় বোনা 'সুতাইরা'-র গঙ্গাজল শাড়ি। ছবি সৌজন্য - DW Stuidos।
ফুলিয়ায় বোনা 'সুতাইরা'-র গঙ্গাজল শাড়ি। ছবি সৌজন্য - DW Stuidos।

সরকারী কোন আনুকূল্য ছাড়া, শুধুই কারিগর সমাজের পারম্পরিক জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত্তিতে তৈরি সামাজিক সহযোগিতাকে সম্বল করে সফল এক অভিবাসনের ইতিহাস।

আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়ে বিদগ্ধ কাজ অনেক। আরও অনেক কিছুর মতনই, সেগুলো কাজে লাগে কম। তাই নিজেদের প্রয়োজনেই, আমাদের এই কাজে হাত দিতে হয়েছে। এই চর্চা নিয়ে আমাদের কোন কৃতবিদ্যতার দাবী নেই। প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির দাবীও নেই। কিন্তু ফুলিয়াতে কাজ শুরু করার পরে পরেই প্রয়োজনটা টের পাচ্ছিলাম। সেই প্রয়োজনটা মেটাতে গিয়ে আমাদের নিজেদের যে বোঝাপড়াগুলো তৈরি হয়েছিল, সেটাই আমরা এখানে লিখছি।
বাংলার তাঁত ও তাঁত শিল্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা নিজেদের কাজ শুরু করলাম ফুলিয়ায়।
এর মধ্যে বাংলার তাঁতশিল্পের অধিকাংশ কেন্দ্রের সঙ্গেই আমাদের পরিচয় হয়ে গেছে। শুধু তাঁত নয়, রং, ছাপা, সূচীশিল্প এই সমস্ত ধরণের কারিগরির কেন্দ্রগুলোই তখন আমরা ঘুরে ফেলেছি।
কারিগরদের থেকে উৎসাহ পেয়ে, কলকাতা কমন্স থেকে, হাত-তাঁতে বয়নের কাজটা নিজেরা করে দেখব এরকম একটা সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়ে গেছে।
শান্তিপুর, সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, কালনা, কাটোয়া, বেগমপুর, ধনেখালি, ঘাটাল, দাঁতন, রঘুনাথপুর, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী, দিনহাটা, গঙ্গারামপুর, কুমারগ্রাম, জিয়াগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ - বর্তমানের এইসব বয়নকেন্দ্র গুলোতে পরিচয়, যোগাযোগ, এবং একসঙ্গে কাজ করার পরেও, নিজেদের কাজের জন্য, আমরা কাজ-এর জায়গা হিসেবে ফুলিয়াকেই বেছে নিয়েছিলাম।
২০১০ নাগাদ, শেষ পর্যন্ত নিজেদের পরীক্ষামূলক কাজের জন্য আমরা ফুলিয়ায় কাজ করতে শুরু করলাম। যেহেতু আমাদের পক্ষে একাধিক জায়গায় কাজ করা সম্ভব ছিল না, তাই কোন একটা জায়গাকেই আমাদের নিজস্ব বয়ন প্রকল্প শুরু করার জন্য বেছে নিতে হত। ফুলিয়াকে বেছে নেওয়ার কারণটা আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। প্রথম কারণ, ফুলিয়ার কারিগর সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হওয়া। আর, কলকাতার নৈকট্য, হাত-তাঁতের রকমফের, তাঁতী সমাজের সামগ্রিক জ্ঞান ও দক্ষতা এগুলোকেই কারণ হিসেবে শুরুতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ লেগেছিল।
যত দিন গেছে, তত আমাদের একটা অন্য উপলব্ধি তৈরি হয়েছে।
ফুলিয়াতে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্তের কারণটা, যেটা শুরুতে আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিকভাবে অনেকগুলো বিকল্পের মধ্যে থেকে একটা বিকল্প বেছে নেওয়া মনে হয়েছিল, আসলে সেটা এতটা আকস্মিক ছিল না। বরং, আমাদের শহুরে, আধা-শহুরে এবং অ্যাকাডেমিক বোঝাপড়ায়, ফুলিয়া ছাড়া আমরা অন্য কোথাও কাজ শুরু করলে, সেটা অবাক হওয়ার মতনই ব্যাপার হতো।
বর্তমানের উৎপাদনের বোঝাপড়া অনুযায়ী, ফুলিয়া বয়নশিল্পের কেন্দ্র হিসেবে সব থেকে পরে শুরু হয়েছে। সেই অর্থে, বয়ন শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে, ফুলিয়া সব থেকে নতুন। ফলে, উৎপাদন কাঠামোটা বর্তমান বাজার বন্দোবস্ত-র সঙ্গে সবথেকে মানানসইভাবে তৈরি হয়েছে। উৎপাদনের গোটা বোঝাপড়াটা, একটা নতুন বন্দোবস্ত অনুযায়ী তৈরি করতে গেলে, পুরোন বন্দোবস্তটার অবশেষ যত কম থাকে সেটা ভালো। কিন্তু একই সঙ্গে এই শর্তটাও জরুরি যে, পুরোন বন্দোবস্তটাকে বাতিল করতে গেলে, তার দক্ষতাটা যেন বাদ না পড়ে যায়। এখানে শুধু, তাঁতী-র, কাটুনি-র, রংরেজ-এর ব্যক্তিগত দক্ষতার কথা হচ্ছে না। এনাদের সবাইকে নিয়ে যে গোটা উৎপাদনের বোঝাপড়াটা, সেটার দক্ষতাটাও জরুরি।
বয়নসমাজ, পরম্পরাগত ভাবে যে দক্ষ বোঝাপড়াটাকে এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে বয়ে নিয়ে চলেন, সেটা ভীষণই প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু এই বোঝাপড়াটা কায়েম করার জন্য সমাজের সংঘবদ্ধ যে শর্ত আরোপ করার ক্ষমতা সেটা বাতিল করাটাও দরকার ছিল। তাই দরকার ছিল, এমন একদল মানুষ, যাঁদের ব্যক্তিগত ও সামজিক দক্ষতার জ্ঞান ও বোঝাপড়াগুলো থাকবে, কিন্তু, উৎপাদন যন্ত্র, তার যোগাড়, এবং, পুঁজির যোগানের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে।
ফুলিয়ার বয়নসমাজ, এই সব শর্তগুলোই পূরণ করছিল। সঙ্গে সবথেকে লেট এন্ট্রান্ট হওয়ার কারণে বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় সবথেকে মরিয়া ছিল। জ্ঞান, দক্ষতা, শ্রমবিনিময়ের সামজিক বাঁধুনি যেগুলোর পিছনে পুঁজির কোন অবদান নেই, আর বাজারমুখী উৎপাদনের জন্য পুঁজির যোগান এই দুটো মিলিয়ে ফুলিয়ার বয়নকেন্দ্রকে সবথেকে হ্যাপেনিং ও ভাইব্র্যান্ট (বাংলা?) করে তুললো। তার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত মেরামতির (বাংলায়, Structural Adjustment) কাজ আজও চলছে।
এই প্রক্রিয়াগত ধারাবাহিকতাটা বোঝার জন্যই, আমাদের কাছে, আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চাটা এত জরুরি। প্রামাণ্য বই ও গবেষণাপত্র গুলো দেখতে গিয়ে, আমরা বিভিন্ন হাস্যকর দাবি দেখেছি। একটা পরিচিত দাবি হচ্ছে, ফুলিয়ার বয়নশিল্পের ইতিহাস নাকি হাজার বছরের পুরোন, এরকমও লিখেছেন অনেকে। ফুলিয়ার জনপদের ইতিহাস এবং ফুলিয়ার বয়নশিল্পের ইতিহাস যে এক নয়, সেটা বুঝতেই সমস্যা হয়েছে, এই সমস্ত বই ও গবেষণাপত্রে।
কথোপকথন-এর আলাপচারিতায়, ফুলিয়ার বাসিন্দা, ফুলিয়ার আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক, শ্রী নিলয় কুমার বসাক বলেছিলেন, তিনি তাঁর পরিবার সূত্রে জেনেছেন, ছয় প্রজন্ম আগে, ঔপনিবেশিক অত্যাচারে, যখন ঢাকা ছেড়ে মসলিন তাঁতীরা পালাচ্ছেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিলেন। এরকমই একদল পৌঁছন, চৌহাট ও ধামরাই-তে। চৌহাট-এ তাঁতের কাজের কোন পরিকাঠামো না থাকায়, চৌহাট থেকে তাঁরা চলে আসেন টাঙ্গাইল-এ। এবং এখান থেকেই টাঙ্গাইল-এর বয়নশিল্পের শুরু।
এরপরে ১৯৪৭-এ দেশভাগের পরে, টাঙ্গাইল থেকে বাইশ গ্রাম (কথিত অর্থে, আসলে তখন গ্রামের সংখ্যা আরও অনেক বেশি)-এর তাঁতিরা যাঁদের সামাজিক-পারিবারিক স্মৃতিতে এই অভিবাসন-এর অভিজ্ঞতা ছিল, তাঁরা যখন পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন এই অভিজ্ঞতা তাঁদের কাজে লেগেছে।
রাষ্ট্রের কোন রকম হস্তক্ষেপ ছাড়াই, কোন সরকারি অনুদান ছাড়া কীভাবে একটা উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প ঘটে উঠল, তার একটা বড় উদাহরণ, ফুলিয়া। আমরা শুধুমাত্র ফুলিয়া সম্পর্কে বেশি পরিচিত বলে, ফুলিয়ার কথাই বলবো। কিন্তু এর বাইরে আরও বেশ কিছু জায়গাতেই এই অভিবাসী কারিগররা বসতি স্থাপন করেছিলেন। ১৯৪৭ থেকে, নদীয়া, বর্ধমান জুড়ে, ফুলিয়া, ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড়, কালনা, কাটোয়া এরকম বেশ কিছু জায়গায় বয়ন-কারিগরদের বসতি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
টাঙ্গাইলের বাইশগ্রামের বসাকদের একটা অংশ প্রথমে এসে পৌঁছেছিলেন সমুদ্রগ্রাম-এ। এটা ১৯৫০-এর আশেপাশে।তখনও ফুলিয়ায় কেউ আসেননি। এই অভিবাসন-এর পিছনে কোন সরকারি পরিকল্পনা বা আনুকূল্য কোনটাই ছিল না। টাঙ্গাইলের বসাকদের একটা বড় অংশ যেহেতু বৈষ্ণব মতাবলম্বী ছিলেন,তাঁরা সমুদ্রগড়ের কোন বৈষ্ণব মতাবলম্বী ব্যক্তি(দের) সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করে নিজেদের উদ্যোগে সমুদ্রগড়ে এসে বসতি স্থাপন করেন। এখানে বয়নের কাজ শুরু করে তাঁরা বিবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলেন। সুতি, রেশম, জরি-র সুতোর মিশেলে কাপড় বোনা, পুরোন মোটিফ-এর সঙ্গে নতুন মোটিফ বোনা এরকম বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলেন।
এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বাইশ গ্রামের বসাকদের যে তন্তুজীবী সম্মিলনী ছিল, তার পক্ষ থেকে, উপেন মালাকার প্রমুখ শ্রী বিধান রায়ের কাছে দরবার করেন। টাঙ্গাইল থেকে এসে এখানে বসতি স্থাপনে যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে, বয়ন-কারিগররা বাকিটা নিজেরাই সামলে নিতে পারবেন – এই ছিল মোদ্দা বক্তব্য।
ততদিনে পুনর্বাসন দফতরের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট, শ্রী সুরেন্দ্র কুমার দে (এস কে দে, পরবর্তীতে পঞ্চায়েত মন্ত্রী)-র তত্ত্বাবধানে, হরিয়ানার কারনাল জেলার নীলোখেরি (তখনকার পাঞ্জাব)-র উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পটি চেহারা পেয়ে গেছে। নীলোখেরি-কে যেহেতু সেসময়ে একটি সফল পুনর্বাসন প্রকল্প বলে বিবেচনা করা হয়েছিল, তাই, শ্রী বিধান রায় তাঁকে দায়িত্ব দেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি পুনর্বাসন প্রকল্প কার্যকরী করার জন্য। উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ফুলিয়ার স্থান-নির্বাচন টা, এস কে দে-র। সেই সময়ে, শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ, শান্তিপুরে বয়নশিল্পের পরিকাঠামো, এবং পতিত জমির আধিক্য সব মিলিয়ে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য ফুলিয়া-র নির্বাচন বেশ স্বাভাবিক ছিল।
এখানেই বলে রাখা ভাল, সেই যে ফুলিয়ার কৃত্তিবাস বাংলায় রামায়ণ অনুবাদ করেছিলেন, সেই যে যবন হরিদাসকে কৃত্তিবাস সেবা করেছিলেন বলে লোকমুখে শোনা যায়, সেই যে ১৪৮২ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ দেবীবর কুলীনদের একরকমের দোষ অনুযায়ী মেলবন্ধন করলে ফুলিয়া মেল-এর উৎপত্তি হল, আর এই যে ফুলিয়ায় ফের জনবসতি স্থাপনের উদ্যোগ শুরু হল, এর মধ্যে প্রায়া পাঁচশো বছরের ব্যবধান। এর মধ্যে মহামারীর কারণে একসময় ফুলিয়া প্রায় জনশূণ্য হয়ে যায়। ফলে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ যখন শুরু হল, তখন, ফুলিয়া মোটামুটি আগাছা সংকুল একটা এলাকা।
কিন্তু টাঙ্গাইল-এর বসাকদের যে অংশ ফুলিয়াতে এলেন, তাঁরা আসতে শুরু করলেন ১৯৫০-এর দশকের শেষদিকে, ১৯৬০ ঘেঁষে। ততদিনে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পে অন্য মানুষেরা বাস করতে শুরু করেছেন। ফলে, এবারে, সরকারি কিছু উদ্যোগ থাকলেও, কার্যকরীভাবে, টাঙ্গাইলের বসাকদের তাতে কোন উপকার হল না। এখানেও মূলতঃ তাঁদের বয়নের জ্ঞান ও দক্ষতাকে সম্বল করে, মহাজনদের সঙ্গে ব্যবস্থাপনায় বয়ন-কারিগররা এখানে বসতি স্থাপন করলেন। কোথাও তাঁরা উঠলেন, মহাজনদেরই ঘরে, কোথাও, সুবিধে মতন, মহাজন বাস্তুভিটের যোগাড় করে দিলেন, তাঁত বসিয়ে দিলেন, আর তার পরে, শ্রম-এর বিনিময়ে ক্রমশঃ সে ধার চোকালেন তাঁতীরা। এই সামাজিক ব্যবস্থাপনার দৌলতেই, আজকেও ফুলিয়ার বসাকদের বয়স্যদের কাছে শুনতে পাবেন, 'দেশভাগের পরে, ফুলিয়ায় এসে, তাঁতীদের একদিনও না খেয়ে বা মাথায় তেল না দিয়ে থাকতে হয়নি।'
এখানেও একটা কথা বলে রাখা দরকার। তাঁতের বৃত্তিতে মহাজন বলতে বোঝায়, যাঁরা উৎপাদনের জন্য তাঁতীকে দাদন দেন, শ্রমচুক্তিতে এবং উৎপন্ন বাজারজাত করেন। তেজারতি কারবারের মহাজন আলাদা। যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের কোন সুবন্দোবস্ত নেই, ফলে, মহাজন তাঁর পুঁজির যোগান আটকে গেলে বা তাঁতী তেমন কোন সাংসারিক বেকায়দায় পড়লে, তেজারতি মহাজন-দের দ্বারস্থ হবেন, এমনটাই দস্তুর। তেমন তেমন ক্ষেত্রে, তাঁতের মহাজন, তেজারতির মহাজনের থেকে ৫, ৭ বা ১০ শতাংশ হার সুদেও টাকা নেন। এটা মাসিক সুদের হার বলা হয়েছে। তেজারতির মহাজনদের মধ্যে কোন তাঁতী মহাজন থাকা এখনও আকস্মিক ঘটনা।
ফুলিয়ার তাঁত সমবায় সংগঠক, শ্রী হরিপদ বসাক ফুলিয়ায় আসেন ১৯৬৮ সালে। তাঁর লেখা, নীলাম্বরীর নকশা বইটিতে ফুলিয়ার শুরুর দিকের, রুক্ষ, ধূসর ছবিটার একটা ধারণা পাওয়া যায়।আজকের ফুলিয়াকে দেখে, সেই ছবি কল্পনা করা খানিক মুশকিলই হবে।

এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যে কোন লেখালেখি, সেটা কলকাতা কমন্স-এর বক্তব্য হোক বা কোন ব্যক্তি-র, সেটা, সেই বিষয়ে, একটা ধারণা তৈরি করার প্রক্রিয়ার অংশ।চূড়ান্ত কোন অবস্থান নয়, একটা অবস্থানে পৌঁছনোর চেষ্টা।

তাই, এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত 'কলকাতা কমন্স’-এর যে কোন লেখা যে কেউ, প্রয়োজন বুঝলে, অন্য যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। আমরা সেই ব্যবহারটা জানতে আগ্রহী।তাহলে এই চর্চা তৈরির চেষ্টাটা আরও ফলপ্রসূ হয়।

যে লেখাগুলো কলকাতা কমন্স-এর নয়, কোন ব্যক্তির নামে প্রকাশিত, সেখানে, বক্তব্যটা একান্তই লেখকের নিজস্ব। আমরা সেই বক্তব্যটা চর্চার প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। এই লেখাগুলো আমরা লেখকের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করি। সেগুলো অন্য কোথাও ব্যবহারের দায়িত্ব আমাদের পক্ষে নেওয়া সমীচীন নয়।

আর এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যে কোন লেখা সম্পর্কে যে কোন প্রতিক্রিয়া কে আমরা স্বাগত জানাই।

আমাদের ইমেল করতে পারেন, commons@kolkatacommons.org তে।