কলকাতা কমন্স

বারোয়ারিতলা

গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনের দাবীসনদ

আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

প্রান্তিক লিঙ্গ ও যৌনতার নাগরিকদের দাবীসনদ

আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

মুসলিম নাগরিক সমাজের দাবীসনদ

আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

দলিত সমাজের দাবীসনদ

আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

বাগিচা শ্রমিকদের দাবীসনদ

আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

উত্তরবঙ্গের জনজাতি সমাজের দাবীসনদ

আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

জনজাতি সমাজের দাবীসনদ

আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

শিশু অধিকারে দাবীসনদ

 আমাদের চাওয়াগুলো শিরোনামে কথোপকথন-এ নাগরিক সমাজের দাবীসনদ তৈরির উদ্দেশ্যে বারো দিন ধরে যে ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে গৃহীত প্রতিটি আলাদা দাবীসনদকে আমরা এক এক করে প্রকাশ করছি। কলকাতা কমন্স-এর পক্ষ থেকে আমরা শুধু মাত্র দাবীগুলো এক জায়গায় সংকলন করেছি। কোন সম্পাদনা বা সেন্সরশিপ আমাদের এক্তিয়ারে থাকার কথা ছিল না, আমরা সেটা করিওনি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করা সকলের অনুমোদন নিয়ে দাবীসনদগুলো এখানে প্রকাশ করছি।

১। শেষ দুপুর থেকে শরতের চিলতে ফিচকে রোদটা সল্টলেকের ওই বইঘরটাতে খেলে বেড়াচ্ছিল। সেখানেই সূত্রপাত হল আড্ডার। যে আড্ডা স্থানান্তর করে চলেও গেল খানিকবাদেই বাঁধা মন্ডপে। শুরু করলেন অঞ্জন সেন, কালে কালে দুর্গার আইকনের বিবর্তন নিয়ে। সঙ্গে অজস্র ছবি দেখানোর জন্য। একচালা থেকে আলাদা আলাদা চালায় দুর্গা, এক মাথা থেকে দশমাথা দুর্গা (রাবণের মত), আট থেকে আঠারো হাত এবং আঠারো পা বিশিষ্ট দুর্গার কথাও চলে এল। সঙ্গত করে যাচ্ছিলেন প্রিয় প্রতুলদা। কথায় কথায় বললেন কোথাও কোথাও সিংহকে দেখতে আবার ঘোড়ার মত হয়। অঞ্জনদা বললেন সিংহ কিন্তু সিংহ নয়, আসলে বিষ্ণু। সঞ্চালনা করতে করতেই তো শিখছিলাম। চট করে জানতে চাইলাম, ঘোড়া কেন?

অতিথি পুলিশ আধিকারিক বললেন 'I love lock-up'। কেন না, লক আপের পেছনে অপরাধ চলে যায় বলে নাগরিক কিছু শান্তি-স্বস্তি পেয়ে থাকে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা মানুষটি শুনেছিলেন পুলিশ মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত। করবেন না করবেন না করেও শেষে পুলিশের চাকরী নিয়েছেন। একটাই ব্রত, অপরাধ মোকাবিলার। এবং উনি খুব পরিস্কার জানেন উঁচু উঁচু স্কাইরাইজে বসে থাকা হোয়াইট কলার ক্রিমিনালদের চাইতে বড় চোর-ডাকাতও না। দৃপ্ত হয়ে ওঠা মানুষটিকে এরপরেও আমাদের জানাতে হয় পুলিশ ও বিচারক তো এক নয়। দুটো কাজ একহাতে চলে গেলে যে পর্বান্তর হয় তাতে আইনের সীমানা লঙ্ঘিত হতেও পারে/হয়ে থাকে। অতিথি আরেক বন্ধু অফিসার জানালেন সেই ঘটনা যেখানে অন্যায্যভাবে কাউকে অপরাধী করার প্রচেষ্টা তাঁরা বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কেমন করে রুখেছেন।

নন্দলাল বসুর এই ডিজাইন দেখে আমাদের শুরু হয়েছিল সহজ পাঠ। মনে পড়ে? কথোপকথন পেজে এটা মনে করিয়ে দিলেন এক বন্ধু। প্রিন্টিং টেকনোলজি পড়তে আপনি যাবেন বিলেত? সুকুমার রায় গিয়েছিলেন। সন্দেশের অফিসে উপেন্দ্রকিশোর থেকে সত্যজিত অবধি আমরা যা ছবি দেখেছি, ভারতবর্ষের কোনো ছাপাখানায় তখনো তা হয়ে ওঠেনি। চাঁদের পাহাড়ের ইলাস্ট্রেশন আর কভারে সত্যজিত যেটা করেছিলেন অনেক অনেকক্ষণ অবাক হয়ে চেয়ে থাকতাম সেটার দিকে। স্মার্টফোনে আজকাল দেখি সেটা নাকি ম্যাজিক পেন।

রাত্রি অনেক হলে লিখতে বসেন চাকরীর চিঠি। দেখে ফেলবেন না কেউ প্লিজ। বন্ধুকে লিখছেন, পরিচিত-অপরিচিতকে লিখছেন - একটা কাজ, খানিক টাকা খুব দরকার। ঘাড়ের উপর দিয়ে নিঃশব্দে উঁকি দিচ্ছেন কেন? নিঃশ্বাস টের পেলেই লেখা-টেখা ফেলে, কালির দোয়াত উল্টে ফেলার সম্ভাবনা জাগিয়ে সশব্যস্ত উঠে দাঁড়াবেন। একবার আপনার দিকে, একবার লেখার দিকে চেয়ে সপ্রতিভ হতে গিয়ে অট্টহাস্যের চেষ্টা করবেন। পুরো হাসিটা কোনদিনই শেষ করতে পারেননি। মাঝপথে হাসিটা গলার কাঁটার মত আটকে দু-হাত পা জড়োসরো, দাঁড়িয়ে থাকবেন মাথা নীচু করে। চোর দায়ে ধরা পড়ে গেছেন। তিনি বাংলা আধুনিক কাব্যসাহিত্য, তিনি মেসবাড়িতে কোনরকম, ভাড়া বাড়িতে একলা ঘরের ছারপোকাময় তক্তপোষে। কবিকে এভাবে লজ্জা দেবেন না। তাঁর কোন আরাম কেদারা নেই। তেমন স্থিরচিত্র তাঁর পাওয়াও যায় না। অনুগ্রহ করে এভাবে যাবেন না কখনো। চিঠি লিখবেন বরং। 'শ্রদ্ধেয় জীবনানন্দ দাশ সমীপেষু...'।

সাহিত্যের আজ ও কাল, কাল ও আজের সাহিত্য

কালবৈশাখীর পরে। নীলচে বিকেল ভাগশেষের মত পড়ে আছে। আড্ডা আলোচনার অতি উত্তম লগ্ন। শুদ্ধসত্ত্ব বড়ো সহজ সঞ্চালক নন। শুরুতেই প্রশ্ন কে কে লেখেন না? কী লিখি? কেন লিখি? লেখার ভাল মন্দ হয়? বুঝি? উত্তরে চায়ের পেয়ালা হাতে শুরু হল কথোপকথন। লেখকের বয়ঃসীমা আছে? লেখকের সংজ্ঞা কী? লিখলেই কি লেখক হওয়া যায়? চাই প্রচার। চাই প্রকাশ। বাণিজ্যিক সাফল্য না এলে কিসের লেখক? স্বীকৃতিই আসল? লেখার প্রসারটাই গুরুত্বপূর্ণ? তাহলে যে কোনো রাজনীতিক লেখক হতে পারতেন? তেমনটা তো হয় না?

এমনিতেই কৌশিকী অমাবস্যা পড়ে গিয়েছে। কী বলতে কী হয়! সাঁঝ লাগছে এমন সময় হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড় করে কর্তাগিন্নী যেই উপস্থিত হলাম DW Studios, দুম করে শুরু হয়ে গেল ঢপের থিয়েটার।কী দেখলাম? উৎপল দত্তের টিনের তলোয়ারের বিনির্মাণ? কাপ্তেনবাবু আর বীরকৃষ্ণ দাঁয়ের একপেশে খেলার হাইলাইটস এই সময়ের পর্দায়? নাকি এই থিয়েটার দেখার চেয়ে বেশী কিছু। ইন্টিমেট থিয়েটারে স্টেজ আর চেয়ারের কোনোও দূরত্ব নেই। ছোঁয়া যায় এমন দূরত্বে আজকের ময়নাকে যখন শরীরের নানা ভাঁজে আঘাত করে আঙুর, সহ্য হয় না, চোখ ফিরিয়ে নিই কেন বারবার? আমাদের আঙুলের ডগায় ফেসবুক ইউটিউব নেটফ্লিক্স এর চেয়ে অনেক ঘোরতর হিংস্র দৃশ্যের নেশা লাগিয়ে আমাদের বিঞ্জ ওয়াচ করায়। তাহলে ইন্টিমেট থিয়েটারের ধরনটাই এটা যে দর্শক ঐ পরিধির মধ্যে ঐ ফিকশনের অংশ হয়ে যায়? দূরত্বটাই মায়াবাস্তব তৈরী করে তাহলে? ইন্টিমেট থিয়েটার এক আশ্চর্য সামাজিক এক্সপেরিমেন্ট বটে।