কলকাতা কমন্স

সাহিত্যের আজ ও কাল, কাল ও আজের সাহিত্য

কালবৈশাখীর পরে। নীলচে বিকেল ভাগশেষের মত পড়ে আছে। আড্ডা আলোচনার অতি উত্তম লগ্ন। শুদ্ধসত্ত্ব বড়ো সহজ সঞ্চালক নন। শুরুতেই প্রশ্ন কে কে লেখেন না? কী লিখি? কেন লিখি? লেখার ভাল মন্দ হয়? বুঝি? উত্তরে চায়ের পেয়ালা হাতে শুরু হল কথোপকথন। লেখকের বয়ঃসীমা আছে? লেখকের সংজ্ঞা কী? লিখলেই কি লেখক হওয়া যায়? চাই প্রচার। চাই প্রকাশ। বাণিজ্যিক সাফল্য না এলে কিসের লেখক? স্বীকৃতিই আসল? লেখার প্রসারটাই গুরুত্বপূর্ণ? তাহলে যে কোনো রাজনীতিক লেখক হতে পারতেন? তেমনটা তো হয় না?

লেখা ভালোমন্দ না ট্র্যাশ কিভাবে বিচার হয়? পাঠক কী চায়? পাবলিশার কী চায়? লেখক কী চায়? লেখা নিজে কী চায়? অবধারিতভাবেই উঠল সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ। আমি যা লিখতে চাই তা কি লিখতে পারি? আমার বাড়ি আমার পরিবার কি তা মেনে নেবে? সমাজ কি সন্তানকে পেশাদার লেখক হিসাবে দেখতে চায় আদৌ? অকপট বিনোদ ঘোষাল এই আলোচনার মস্ত বড়ো প্রাপ্তি। তাঁর সাফ কথা। লেখক নিজের কাছে লেখার বিষয়ে সৎ না থাকলে লেখা বিপদে পড়ে। পীযূষ তুললেন আরোও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন: পাঠকের পছন্দমত লিখে সাফল্য না লেখকের পছন্দসই লেখার পাঠক তৈরী - সাহিত্যের এখন কোনটা প্রয়োজন? লেখক কেমন করে লিখতে লিখতে পরিণত হয়? প্রকাশক তাতে কতটা ভূমিকা নেয়? পাঠকের চাহিদা কতটা নির্ভুলভাবে মাপা হয়েছে আজ অবধি? পাঠক নিজে জানে তার পছন্দ তার অবজ্ঞা তার ভালোবাসা তার উপেক্ষা সাহিত্যের কত ধারার জন্ম দিয়েছে আর কত ধারাকে ফল্গুর মত লেখকের মনের মধ্যে পুঁতে এসেছে? আমরা সাহিত্যকে কতটা ধারণ করতে পারলাম? এই আলোচনা চলতে থাকবে। যারা লেখে কেন লেখে যারা পড়ে কেন পড়ে। আগামী অধিবেশনে আরো ঘোরালো হয়ে উঠুক আলোচনা। বেআক্কেলে ঝড়ের অত্যাচারে যাঁরা মাঝরাস্তা থেকে ফিরে গেলেন, যাঁরা এসে উঠতে পারলেন না, পরবর্তী অনুষ্ঠানে আপনাদেরও আসা চাই কিন্তু।

এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যে কোন লেখালেখি, সেটা কলকাতা কমন্স-এর বক্তব্য হোক বা কোন ব্যক্তি-র, সেটা, সেই বিষয়ে, একটা ধারণা তৈরি করার প্রক্রিয়ার অংশ।চূড়ান্ত কোন অবস্থান নয়, একটা অবস্থানে পৌঁছনোর চেষ্টা।

তাই, এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত 'কলকাতা কমন্স’-এর যে কোন লেখা যে কেউ, প্রয়োজন বুঝলে, অন্য যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। আমরা সেই ব্যবহারটা জানতে আগ্রহী।তাহলে এই চর্চা তৈরির চেষ্টাটা আরও ফলপ্রসূ হয়।

যে লেখাগুলো কলকাতা কমন্স-এর নয়, কোন ব্যক্তির নামে প্রকাশিত, সেখানে, বক্তব্যটা একান্তই লেখকের নিজস্ব। আমরা সেই বক্তব্যটা চর্চার প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। এই লেখাগুলো আমরা লেখকের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করি। সেগুলো অন্য কোথাও ব্যবহারের দায়িত্ব আমাদের পক্ষে নেওয়া সমীচীন নয়।

আর এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যে কোন লেখা সম্পর্কে যে কোন প্রতিক্রিয়া কে আমরা স্বাগত জানাই।

আমাদের ইমেল করতে পারেন, commons@kolkatacommons.org তে।