এবং দর্শকের জন্যও তা সমান তালে বিপজ্জনক। লিনিয়ার কাহিনীর যে প্রবহমানতায় আমরা বেশী অভ্যস্ত তার ধারই ধারছে না প্রযোজনা। প্রয়োগও সত্যিই তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাত্রা বদলেছে। ম্যাচিওরড লেগেছে প্রযোজনা ভাবনার বেশীটাই। কিছুদিন আগেই অভি বলছিল নাট্যের একটি পৃথক ভাষার সন্ধান ও করবেই। এই সন্ধান এই প্রযোজনাতে যেভাবে দেখলাম তা প্রশংসা যোগ্য। এবং এই একই কারণে কলাকুশলী ও অন্যান্য প্রকৌশলীদের কাছেও নাট্যটি একটি বুবি ট্র্যাপ। সুমন্ত ওই খেলাতে যতটা জ্যান্ত হয়েছেন, কিম্বা অভীপ্সা – ততটা যাতায়াত সন্দীপন ও ঋষভে এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। শরীর এঁদের সকলেরই সম্পদ। কিন্তু ব্রাত্য বসু’র নাটকটি আরো কিছু দাবী করছে। সংলাপ দর্শন বয়ান করলে তাকে ধারণ করাটা শক্ত কাজ। সেখানে নাট্যাভিনয় কৌশলের বদল না হলে গভীরতা থেকে একটু দূরে থেকে যায়। আশা করা যায় সবে দ্বিতীয় শো যেহেতু, এর আরো আরো…।
মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়েছে, সোমেশ তবু মরেনি। বেঁচেও রইল কি? ‘আমরা যাইনি মরে আজও – তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়’। মহীনের ঘোড়াগুলির কার্তিকের জ্যোৎস্নায় ঘাস খাওয়ার যে নাটকীয়তা তার জন্য দর্শক লাগে। নতুবা কেই বা জানবে। কেই বা…। আশা করব দর্শক প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ করে…।